হিসাব তথ্য ব্যবহারকারী | হিসাব তথ্যের আভ্যন্তরীন ব্যবহারকারী | The Users of Accounting Information | হিসাব তথ্যের বাহ্যিক পক্ষ বা ব্যবহারকারী
হিসাব তথ্য ব্যবহারকারী | হিসাব তথ্যের আভ্যন্তরীন ব্যবহারকারী | হিসাব তথ্যের বাহ্যিক পক্ষ বা ব্যবহারকারী
★ হিসাব তথ্য কি?
অথবা- হিসাব তথ্য কাকে বলে?
হিসাববিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান কাজ হল আর্থিক তথ্যকে প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন পক্ষের নিকট সঠিক ও অর্থপূর্ণ। ভাবে উপস্থাপন করা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যহ সংঘঠিত আর্থিক লেনদেনকে হিসাবে লিপিবদ্ধ করা, ফলাফল নিরূপণ করা, প্রতিবেদন প্রস্তুত করা এবং ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে প্রকৃত তথ্য বিভিন্ন পক্ষ অথবা ব্যবহারকারীর নিকট পৌছানাের কাজকে হিসাব তথ্য বলে।
প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রত্যক্ষ অথবা পরােক্ষভাবে জড়িত বিভিন্ন পক্ষ হিসাববিজ্ঞান তথ্য ব্যবহার করে থাকে। এ ব্যবহারকারী পক্ষকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
(ক) হিসাব তথ্যের আভ্যন্তরীন পক্ষ বা ব্যবহারকারী।
(খ) হিসাব তথ্যের বাহ্যিক পক্ষ বা ব্যবহারকারী।
(ক) হিসাব তথ্যের অভ্যন্তরীণ পক্ষ বা ব্যবহারকারী।
১. মালিক পক্ষ
২. ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ
৩. অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক
(খ) হিসাব তথ্যের বাহ্যিক পক্ষ বা ব্যবহারকারী।
১. মালিক পক্ষ
২. ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ
৩. অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক
১. বিনিয়ােগকারী
২. সরকার
৩. ঋণদানকারী
৪. পাওনাদার
৫. বাহ্যিক নিরীক্ষক
৬. শ্রমিক সংঘ
৭. কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ
৮. ভােক্তা
৯, গবেষক
১০. বণিক সমিতি
১১. জনগণ
১২. ষ্টক একচেঞ্জ
নিমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীগণ যে সকল তথ্য ব্যবহার করে তা আলােচনা করা হল:
(ক) হিসাব তথ্যের অভ্যন্তরীণ পক্ষ বা ব্যবহারকারী।
প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে অবস্থানকারী পক্ষকে অভ্যন্তরীণ পক্ষ বলা হয়। নিম্নে অভ্যন্তরীণ পক্ষ সমূহের বর্ণনা করা হলঃ
১। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষকঃ প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত হিসাবের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষকগণ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার্থে হিসাব তথ্য ব্যবহার করে থাকে।
২। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষঃ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রতিষ্ঠানের প্রাণ সঞ্চালন কেন্দ্র বলা যায়। প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের হিসাব তথ্যের প্রয়ােজন হয়। প্রতিষ্ঠানে সংঘঠিত আর্থিক লেনদেন সুশৃংখলভাবে শ্রেণিবিণ্যাস করে লিপিবদ্ধ করে আর্থিক ফলাফল নিরূপন ও প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। যা হতে ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বাজেট ও পরিকল্পনা প্রনয়নে উপযুক্ত তথ্য পেয়ে থাকে।
৩। মালিকঃ মালিক পক্ষ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়ােজিত মূলধনের বিপরীতে অর্জিত লাভ ও বিনিয়ােজিত মূলধনের নিরাপত্তা জনিত বিভিন্ন তথ্য জানতে আগ্রহী। হিসাবে লিপিবদ্ধকৃত লেনদেন হতে নির্ণয়কৃত আর্থিক ফলাফল ও প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন ইত্যাদি হতে মালিকপক্ষ বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকে।
(খ) হিসাব তথ্যের বাহ্যিক পক্ষ বা ব্যবহারকারী।
প্রতিষ্ঠানের বাহিরে অবস্থানকারী অথচ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন পক্ষ যারা প্রতিষ্ঠানের হিসাব তথ্য ব্যবহার করে থাকে, তাদেরকে বাহ্যিক পক্ষ বলে ।
১। ষ্টক এক্সচেঞ্জঃ পুঁজি বাজারের অবস্থানকে স্থিতিশীল রাখতে হলে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা জানতে হবে। আর এ কাজে হিসাব তথ্যের প্রয়ােজন হয়ে থাকে। উপযুক্ত আলােচনার ভিত্তিতে বলা যায় যে, দিন দিন হিসাববিজ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে এর তথ্য ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেড়ে চলছে।
২। জনগণঃ সমাজে বসবাসরত জনসাধারণ দেশে অবস্থানরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও অবনতি জানতে চায়। আর এ কাজে হিসাব তথ্য সহায়তা করে থাকে।
৩। বণিক সমিতিঃ সমাজে অবস্থানরত বিভিন্ন ধরনের বণিক সমিতি তাদের যৌথ কার্যাবলি ও এর পর্যালােচনার মাধ্যমে সমিতির মাসিক চাঁদা নির্ধারণ করে এবং প্রয়ােজনীয় অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। এ সকল কাজে হিসাব তথ্যের প্রয়ােজন হয়।
৪। গবেষকঃ হিসাব তথ্যের অন্যতম ব্যবহারকারী হচ্ছে গবেষকগণ। প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে গবেষণা করতে হিসাব তথ্যের প্রয়ােজন হয়।
৫। ভােক্তাঃ ভােক্তারা পণ্যদ্রব্য সানন্দে গ্রহণ না করলে উক্ত পণ্যের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে বাধ্য তাই ভােক্তা স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। ভােক্তা স্বার্থ সঠিকভাবে রক্ষা করা হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভােক্তাগণ অনেক সময় হিসাব তথ্য ব্যবহার করে থাকে।
৬। কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দঃ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আর্থিক তথ্য জানা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। কারণ উক্ত তথ্য হতে প্রাপ্ত সঠিক কারবারী অবস্থান জানার মাধ্যমে মালিক পক্ষ হতে তাদের প্রাপ্ত ও প্রয়ােজনীয় সুবিধা আদায় করা সহজ হয়ে থাকে।
৭। শ্রমিক সংঘঃ শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝে পেতে এবং মালিক পক্ষের সাথে দর কষাকষি করে উপযুক্ত পারিশ্রমিক পেতে হলে হিসাব তথ্যের প্রয়ােজন হয় ।
৮। বাহ্যিক নিরীক্ষকঃ বাহ্যিক নিরীক্ষক নিয়ােগ করার উদ্দেশ্য হল প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত সকল প্রকার হিসাব পরীক্ষা করে জাল-জুয়াচুরি উদঘাটন করা এবং প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ভবিষ্যতে তা রােধে প্রয়ােজনীয় ও উপযুক্ত পরামর্শ দান করা।
৯। পাওনাদারঃ ধারে পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে পাওনাদার সৃষ্টি হয়ে থাকে। পাওনাদাররা ধারে পণ্য বিক্রয়ের পূর্বে ভবিষ্যতে টাকা প্রাপ্তির সম্ভাবনা যাচাই করে থাকে। তাই পাওনাদারবৃন্দ হিসাববিজ্ঞান হতে প্রাপ্ত তথ্য দ্বারা ধারে পণ্য বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।
১০। ঋণদানকারীঃ সাধারণত ঋণদানকারী ব্যাক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান ঋণ প্রদান করার পূর্বে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশােধ ক্ষমতা যাচাই করে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন হিসাব তথ্য হতে প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অর্জিত মুনাফার হার যাচাই করে ঋণের সুদ পাবার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে ঋণদান করতে চায়।
১১। সরকারঃ সরকারি আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর আরােপ কর্য। প্রতিষ্ঠানের উপর কর আরােপে হিসাব তথ্য সরকারকে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
১২। বিনিয়ােগকারীঃ বিনিয়ােগকারীরা প্রথমত তাদের বিনিয়ােগকৃত অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। তারপর লাভের কথা চিন্তা করে থাকে। হিসাব তথ্য হতে বিনিয়ােগকারীরা এ সকল বিষয়ে অবগত হয়ে থাকে।
হিসাব তথ্যর অভ্যন্তরীণ পক্ষ কারা
হিসাব তথ্যের অভ্যন্তরীণ পক্ষ কারা
হিসাব তথ্যর অভ্যন্তরীণ ব্যবহারকারী কারা
হিসাব তথ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারকারী কারা
হিসাব তথ্যর অভ্যন্তরীন ব্যবহারকারী কারা
হিসাব তথ্যর অভ্যন্তরীন পক্ষ কারা
হিসাব তথ্যর বাহ্যিক ব্যবহারকারী কারা
হিসাব তথ্যের বাহ্যিক ব্যবহারকারী কারা
হিসাব তথ্যর বাহ্যিক পক্ষ কারা
হিসাব তথ্যের বাহ্যিক পক্ষ কারা
হিসাব তথ্য ব্যবহারকারী,হিসাব তথ্যের আভ্যন্তরীন ব্যবহারকারী,হিসাব তথ্যের বাহ্যিক পক্ষ বা ব্যবহারকারী
Comments
Post a Comment
Do not share any link.