মানব জীবনে ইতিহাস | manob jibone itihash probondho | ssc 2021 1st week assignment

মানব জীবনে ইতিহাস | manob jibone itihash rochona | ssc 2021 1st week assignment 



“মানব জীবনে ইতিহাস” শীর্ষক প্রবন্ধ (৩০০ শব্দের মধ্যে)


নির্দেশনা:

★ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ব্যাখ্যা

★ইতিহাস রচনার উপকরণ (লিখিত ও অলিখিত),

প্রকারভেদ ব্যাখ্যা

★ইতিহাসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা

★মানবজীবনে ইতিহাস চর্চার প্রয়ােজনীয়তা বিশ্লেষণ



মানব জীবনে ইতিহাস


ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা:

‘ইতিহাস’শব্দটির উৎপত্তি ‘ইতিহ’ শব্দ থেকে যার অর্থ ‘ঐতিহ্য’। ঐতিহ্য হচ্ছে অতীতের অভ্যাস, শিক্ষা, ভাষা, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি যেটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এই ঐতিহ্যকে এক প্রজন্ম থেকে আরেক 


ইতিহাসের উপাদান:

ইতিহাসের উপাদানকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : লিখিত উপাদান ও অলিখিত উপাদান।


১. লিখিত উপাদান :

ইতিহাস রচনার লিখিত উপাদানের মধ্যে রয়েছে সাহিত্য, বৈদেশিক বিবরণ, দলিলপত্র ইত্যাদি। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সাহিত্যকরুন্মেও তৎকালীন সময়ের কিছু তথ্য পাওয়া যায়।যেমন:বেদ,কৌটিল্যের‘অর্থশাস্ত্র’,কলহনের ‘রাজতরঙ্গিনী’, মিনহাজ-উস-সিরাজের ‘তবকাত-ই-নাসিরী’, আবুল ফজল- এর ‘আইন-ই-আকবরী’ ইত্যাদি।


২. অলিখিত বা প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান:

যেসব বস্তু বা উপাদান থেকে আমরা বিশেষ সময়, স্থান বা ব্যক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক তথ্য পাই সে বস্তু বা উপাদানই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ মূলত অলিখিত উপাদান।যেমন: মুদ্রা, শিলালিপি স্তম্বলিপি, তাম্রলিপি, ইমারত ইত্যাদি। এ 


ইতিহাসের প্রকারভেদ:

ইতিহাসকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-ভৌগোলিক অবস্থানগত ও বিষয়বস্তুগত ইতিহাস।


১: ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক বা ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাস :

যে এটি ইতিহাসে স্থান পেয়েছে তা কোন প্রেক্ষাপটে রচিতজ্জ স্থানীয়, জাতীয় না আন্তর্জাতিক। এভাবে ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে শুধুমাত্র বোঝার সুবিধার্থে ইতিহাসকে আবারো তিনভাগে ভাগ করা যায়, যথা- স্থানীয় বা আঞ্চলিক ইতিহাস, জাতীয় ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক ইতিহাস।


২ : বিষয়বস্তুগত ইতিহাস :

কোন বিশেষ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে যে ইতিহাস রচিত হয় তাকে বিষয়বস্তুগত ইতিহাস বলা হয়। ইতিহাসের বিষয়বস্তুর পরিসর ব্যাপক। তবু সাধারণভাবে একে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- রাজনৈতিক ইতিহাস, সামাজিক ইতিহাস, অর্থনৈতিক ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ইতিহাস, কূটনৈতিক ও সামপ্রতিক ইতিহাস।


ইতিহাসের গুরুত্ব:

ইতিহাস হলাে মানব সভ্যতা ও মানব সমাজের অগ্রগতির ধারাবাহিক সত্যনির্ভর বিবরণ। বিভিন্ন জাতি গােষ্ঠির উত্থান পতনের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা ইতিহাসের বিষয়বস্তু। গ্রিক পণ্ডিত হেরােডােটাস সর্বপ্রথম বিজ্ঞান সম্মতভাবে মানুষের অতীতের কাহিনি ধারাবাহিকভাবে রচনার চেষ্টা করেছিলেন বলে তাকে ইতিহাসের জনক বলা হয়। ইতিহাস পাঠ করে আমরা অতীতের অবস্থা জানতে পারি। আবার অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যও গড়তে পারি। সর্বোপরি ইতিহাস পাঠ মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম, আত্মমর্যাদাবােধ এবং জাতীয়তাবােধেরও জন্ম দেয়। সে ক্ষেত্রে ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ একটি শাস্ত্র বা বিষয়।



মানব জীবনে ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয়তা:

মানবসমাজ ও সভ্যতার বিবর্তনের সত্য নির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। যে কারণে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস পাঠ মানুষকে অতীতের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা বুঝতে, ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে সাহায্য করে। ইতিহাস পাঠের ফলে মানুষের পক্ষে নিজের ও নিজদেশ সম্পর্কে মঙ্গল-অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। সুতরাং, দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তি প্রয়োজনে ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি।



Comments

Popular posts from this blog

যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন | jekhane dekhibe chai uraiya dekho tai paileo paite paro omullo roton

সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে |sokoler tore sokole amra protteke amra porer tore

কীর্তিমানের মৃত্যু নেই | kirtimaner mrittu nei | kirti maner mrittu nei